বারআউলিয়ার পুণ্যভূমি খ্যাত চট্টগ্রামে পুরাতাত্তি্বক কিছু স্মৃতিচিহ্ন আছে মসজিদকে ঘিরে। ২০০ থেকে ৭০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যের এসব স্মারকও সময়ের স্রোতে হারিয়ে যাওয়ার পথে। মোগল আমলের তৈরি এমনই এক মসজিদ হচ্ছে উত্তর হালিশহরের চৌধুরীপাড়ায় আসগর আলী চৌধুরী জামে মসজিদ।
১৭৯৫ সালে আজগর আলী চৌধুরী নামে একজন স্থানীয় ব্যক্তি এই মসজিদটি তৈরি করেন। ১০ শতক জমির ওপর মসজিদটি নির্মাণ করা হয়। ইমামসহ প্রায় ৩১ জন মুসল্লি এই মসজিদে নামায আদায় করতে পারেন।
২০১৬ সালের দিকে মসজিদটি নামায পড়ার অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে। এলাকাবাসীর আগ্রহে পুরাতাত্ত্বিক এই নির্দশন না ভেঙে পেছনে ৭০ শতক জায়গার ওপর সাড়ে চার কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন মসজিদটি নির্মাণ করছেন চৌধুরী পরিবারের ওয়ারিশরা। নতুন মসজিদের নকশাও নজর কাড়ছে দর্শনার্থীদের। নতুন মসজিদটি বানানো হয়েছে অনেকটা সংসদ ভবনের আদলে। মসজিদটির তিন পাশেই রাখা হয়েছে জলাধার। ওপর থেকে মনে হবে পানির ওপরই ভেসে আছে যেন আল্লাহর এই প্রিয় ঘর।ঢাকাস্থ আরবানা আর্টিটেক্ট গ্রুপকে তারা দায়িত্ব দেয় মসজিদটি সংস্কার করার জন্য। ৫০ লক্ষ টাকা খরচ করে চুন-সুরকি দিয়েই মসজিদটিকে সংস্কার করা হয়।
এটি মূলত মোঘল স্থাপনাকে অনুকরণ করে তৈরি করা একটি মসজিদ। তাজমহলের একটি প্রভাব এর নকশায় লক্ষ্য করা যায়। মসজিদের বাইরে দেয়ালে রয়েছে সুন্দর কারুকাজ। উপরে রয়েছে ২৪ টি মিনার। আর গম্বুজ রয়েছে তিনটি। এর মধ্যে মাঝখানের গম্বুজ আকারে অনেক বড়। বিশেষ কোন জানালা এই মসজিদে নেই। দরজার আকারও খুব একটা বড় নয়। চুন-সুড়কি দিয়েই এই মসজিদটি তৈরি করা হয়েছে।
মসজিদটির সামনে রয়েছে ১০০ শতক জায়গা জুড়ে বিশাল একটি পুকুর। এর উত্তর দিকে রয়েছে চৌধুরী পরিবারের তৈরি করা প্রাথমিক বিদ্যালয়। দক্ষিণ দিকে রয়েছে কবরস্থান।
মসজিদটি দেখতে যেতে হলে কি ভাবে যাবেন :
চট্টগ্রামের বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদ থেকে সোজা পশ্চিমে তিন কিলোমিটার গেলেই হালিশহরের বড়পোল এলাকা। সেখান থেকে আরও প্রায় পাঁচ কিলোমিটার পশ্চিম-উত্তরে এগোলেই হালিশহরের চৌধুরীপাড়া।
Mr.Jinnat Ali- Historical Mosques in Bangladesh -Asghar Ali Chowdhury Jame Masjid
The mosque is very beautiful
Nice picture ❤️
Thank you for sharing the unknown information about this mosque